রবিবার(১৮ এপ্রিল ২০২১) রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সাবেক দুই ছাত্রনেতা দুলাল ও রিপনকে চায় তৃণমূলের কর্মীরা। রাজধানীর নিকটবর্ত্তী নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত রূপগঞ্জ উপজেলার গুরুত্ব অপরিসীম। এই উপজেলার সন্তান প্রয়াত বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন চৌধুরী। যিনি বিএনপি শাসনামলে একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন।তিনি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।এই জেলায় বিএনপিকে চাঙ্গা করতে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি কতৃক গঠিত একাধিক উপকমিটি বিভিন্ন থানা,উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় রূপগঞ্জে চলছে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পদ পেতে লবিং গ্রুপিং।
সুত্রে প্রকাশ রূপগঞ্জ উপজেলার সন্তান হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ দুলাল ও রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নারায়নগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আশরাফুল হক রিপনকে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটিতে আহবায়ক ও সদস্য সচিব পদে দেখতে চায়।উল্লেখ্য মোঃ দুলাল রূপগঞ্জ উপজেলার হারারবাড়ি এলাকার সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তিনি ঢাকা সরকারি শহীদ তিতুুমীর কলেজে লেখাপড়া করতে গিয়ে সেখানেই ছাত্রদলের রাজনীতি তে জড়িয়ে পড়েন।মাঠ পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতিতে তিনি সফল ছিলেন বলেই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হন।
অপরদিকে রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের বাসিন্দা আশরাফুল হক রিপন।যিনি শৈশব থেকেই বিএনপির রাজনীতির প্রতি দুর্বল ছিলেন। একপর্যায়ে প্রবীণ নেতা বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দু মতিন চৌধুরীর নির্দেশে আশরাফুল হক রিপন রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হন। তিনিই আবার রিপনকে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত করেন।এক কথায় আশরাফুল হক রিপন মতিন চৌধুরীর সৃষ্টি করা একজন স্বাচ্চা কর্মী বলেই তাকে চিনেন রূপগঞ্জের বিএনপির তৃণমূল।এমনটাই বলেন, উপজেলা বিএনপির অনেক নেতা কর্মীরা।এই উপজেলার বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অধিকাংশই ঢাকায় বাস করেন। যাদেরকে সহসাই কাছে পাওয়া যায় না। অথচ আশরাফুল হক রিপন এলাকায় থাকেন।অবস্থা যতই বেগগিক হোক,তিনি এলাকা ছেড়ে,এলাকার নেতা কর্মীদের ছেড়ে থাকতে পারেন না। তাই তাদের দাবী আসন্ন কমিটিতে রিপন কে সদস্য সচিব পদে অধিষ্ঠিত করা।
Leave a Reply