হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জে তিন কিলোমিটার এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় পৃথক ৬টি মামলা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় ২৫ থেকে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি এবং র্যাব বাদী হয়ে একটিসহ মোট ছয়টি মামলা করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদ ও হেফাজতের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রাণহানির ঘটনায় গত রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়ে ছিল হেফাজতে ইসলাম।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ফজরের নামাজের পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোড থেকে চিটাগাং রোর্ড পর্যন্ত অন্তত দশটি স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা। এ সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে খ- খ- মিছিল করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকবার হেফাজত কর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বললেও হেফাজত নেতাকর্মীরা মহাসড়ক ছেড়ে যাননি। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টায় সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকায় হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশ হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে দেড় টিয়ারশেল এবং ৪ হাজার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ৬টি কভার্ডভ্যান, ৮ টি ট্রাকি, ১ প্রাইভেট কারসহ মোট ১৭টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে গণমাধ্যমের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সসহ শতাধিক যানবাহন। এতে ২জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, জনগণের জানমালের ক্ষতি, নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা, সড়ক অবরোধ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি এবং র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
ওসি বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনে পুলিশের চারটি ও র্যাবের একটিসহ মোট পাঁচটি মামলা এবং সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও আহত করার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করে। এসব ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জড়িত লোকজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply