ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে পবিত্র শবেবরাত। জেলার বিভিন্ন মসজিদে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই জমায়েত হতে শুরু করে মুসল্লিরা। সন্ধ্যার পর শুরু হয় বিশেষ ওয়াজ মাহফিল। মসজিদগুলোতে রাতব্যাপী অনুষ্ঠান মালার আয়োজন হয় ।
এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, মিলাদ-মাহফিল, নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল মুসল্লিরা মৃত স্বজনের কবর জিয়ারত করেন ।
শেষে ফজরের নামাজের পর হওয়া আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।
শবেবরাতের আরবি লাইলাতুল বরাত। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস- শবেবরাতের রাতে নির্ধারণ হয় পরবর্তী এক বছরের হায়াত, রিজিক, আমল। এ রাতে রয়েছে পাপ মোচনের সুযোগ।
শবেবরাত মুসলমানের কাছে রমজানের বার্তা বয়ে আনে। রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে অনেকে সোমবার ও মঙ্গলবার রোজা রাখবেন। শবেবরাতে সন্ধ্যায় প্রতিবেশী ও দুস্থদের মধ্যে ইফতার এবং হালুয়া-রুটি বিতরণের রেওয়াজ রয়েছে।
ফার্সি শব্দগুচ্ছ ‘শবেবরাত’-এর অর্থ ভাগ্যরজনী। শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতটি মুসলিম উম্মাহ পালন করে মহিমান্বিত ভাগ্যরজনী হিসেবে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, এ রাতেই পরবর্তী বছরের জন্য ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়।
Leave a Reply