মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আবারও মাকসুদ হোসেনকে সমর্থন দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। তিনি ইউনিয়নটিতে বসবাসরত মানুষকে উন্নয়নের স্বার্থে একজোট হয়ে মাকসুদ হোসেনকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
মুছাপুর ইউনিয়নের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় আসন্ন নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ প্রেম তলায় এ ঘোষণা দেন।
সেলিম ওসমান বলেন, ‘অনেকে আমাকে দানবীর বলে, আমি এক হাত দিয়ে দান করলে অন্য হাততো জানতো না। কিন্তু সকলেই আমার উন্নয়নের খবর জানে। তাই আমি বলি- আমি দানকরী না, আমি আপনাদের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করি। এরই মধ্যে সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যক্তি অর্থায়নে আমার নির্বাচনী এলাকার ৭টি ইউনিয়নে ৭টি স্কুল ভবন করে দিয়েছি। নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জমি কিনে ভবন করে দিচ্ছি। কদম রসূল কলেজ সরকারি করা হয়েছে, আল্লাহ হায়াত দিলে সামসুজ্জোহা উচ্চ বিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করবো। প্রধানমন্ত্রী নবীগঞ্জ দিয়ে কদম রসূল ব্রিজ করে দিবে, ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাজ চলমান। শান্তির চরে শীল্প কারখানা হবে। এই এলাকার মানুষকে আর অন্য কোথাও গিয়ে কাজ করতে হবে না। এক সময় বন্দরের মানুষ অনেক বিত্তবান ছিল। আবারও বিত্তবান হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আমরা তৈরি করবো। এ জন্য আপনাদের সহযোগীতা চাই।’
মাকসুদ হোসেনকে সমর্থন দিয়ে সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ৭টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যদি আমি পাই। তাহলে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের উন্নয়নে আমার সময় ব্যয় করবো। আপনাদের প্রতি আমার চাওয়া ‘আমাকে পঙ্গু করে দিবেন না।’
দুপুর ৩টা থেকেই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ যোগদেন। প্রিয় নেতা সেলিম ওসমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কেউ গামছা, কেউ ব্যান্ডপার্টি নিয়ে কেউ বা আবার এক রংয়ের টি-শার্ট পরে এসেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি সেলিম ওসমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ইউনিয়নটির বর্তমান চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমার সাথে যারা কাজ করেন, তাদেরকে ধর্য্য ধারণ করতেই হবে। যতদিন জনপ্রতিনিধি থাকবেন, আপনাদের প্রাণ ভরে গালি শোনার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। লাঠি খাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। মৃত্যুর পর বিবেচনা হবে, আমরা কোন কোন ভালো কাজ করে গেলাম। যারা জনগণের গালি বা লাঠি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন, তারাই আমার সাথে থাকতে পারবেন। আগের ভূল ত্রুটির জন্য রমজান মাসের মধ্যে সকলে কাছে গিয়ে ক্ষমা চান। তবে, ঈদের পর কারো অভিযোগ পেলে সমর্থন থাকবে না।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বন্দর থানা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, মহানগর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আকরাম আলী শাহীন।
সেলিম ওসমান আরও বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে আপনাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমি কোন দলের এমপি? আপনারা সবাই বলেছিলেন, জাতীয় পার্টির। কিন্তু আমি বলে ছিলাম ‘আমার কাছে কোন দল নাই। দীর্ঘ ৭ বছর চলে গেছে। আমি আওয়ামী লীগ, জাতীয়পার্টি ও বিএনপিকে সাথে নিয়েই কাজ করেছি।’
মুছাপুর ইউনিয়নের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ আহম্মেদ, মহানগর জাতীয় পাটির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply