নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের আকিজ সিমেন্ট, আকিজ আটা, ময়দা, সুজি, চিনি, গরুর খাবার গমের মোটা ভুসি, চিকন ভুসিসহ তাদের অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ডের কবলে জন জীবন হুমকির কবলে। দেখার যেন কেউ নেই। সর্ব সাধারন জনগন এর বিপক্ষে অবস্থান নিলেও কোন সুফল পাচ্ছে না। সাধারন জনগনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে সুবিধা হয় সরকার দলীয় কতিপয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের। নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের রাজনীতির ব্যানারে এ ৪ রত্ন শুধু আকিজ প্রতিষ্ঠান ও ট্রাক স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ পূর্বক প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সাধারন জনগনের জীবন হুমকির কবলে ফেলে তারা প্রত্যেকে কোটিপতি বনে গেছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
সূত্র মতে, নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডের বন্দরের ইস্পাহানি এলাকায় আকিজ সিমেন্ট কারখানাটি অবস্থিত। সর্ব সাধারন আকিজ সিমেন্ট কারখানা হিসেবে চিনলেও এর অন্তরালে গড়ে উঠেছে আকিজ আটা, ময়দা, পলি ফাইভার, সুজি, চিনি, গরুর খাবার গমের মোটা ভুসি, চিকন ভুসি। এমনকি সরকারকে ধোকা দিয়ে সিমেন্টের উৎপাদন বর্তমানে দ্বিগুন হচ্ছে।
সিমেন্ট কারখানার অন্তরালে এসব উৎপাদনের ফলে গাড়ীর পরিমান বেড়েছে কয়েকগুন। যার ফলে মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের বাগবাড়িস্থ পুরাতন পুলের সামনে রেলওয়ের বিশাল পরিমান জায়গা দখল পূর্বক গড়ে তুলেছে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড। যে স্ট্যান্ডে প্রতিদিন ২/৩শ’ গাড়ী স্টক থাকে। আকিজ অফিস হতে কল আসলে স্ট্যান্ড হতে গাড়ী যায় কোম্পানিতে। স্ট্যান্ড হতে গাড়ীগুলো নবীগঞ্জ স্ট্যান্ড হয়ে কোম্পানিতে গিয়ে লোডিং করে। যার কারনে প্রতিনিয়ত যেমন ঘটছে দূর্ঘটনা, তেমন হচ্ছে পরিবেশ দূষন। মহামারি করোনা কালেও তাদের অবস্থান ছিল একই। স্থানীয় জনগন এর প্রতিবাদ করলে তাৎক্ষনিকভাবে চলে আসতে দেখা গেছে ৪ খলিফার প্রতিনিধি / ক্যাডার বাহিনী। যার ফলে সচেতন মহল দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে এ প্রতিনিধিকে মেসেজ দিয়ে জানায়, আকিজ হচ্ছে আমাদের পরম বন্ধু। যখন তখন মানুষের জীবন কেড়ে নেয়,আকিজ সিমেন্টের ফ্রাই আশে হার্টে ব্লক দেওয়া,২৪ ঘন্টা পরিবেশ কে নষ্ট করা। ২৪ ঘন্টা আবাসিক এলাকা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল( ট্রাক) করলেও দেখার যেন কেউ নেই। বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চলাচল, যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং দেখে মনে হয় কামাল উদ্দিনের মোড় হতে আকিজ কোম্পানি পর্যন্ত সকল জায়গাই যেন কোম্পানির ক্রয়কৃত জায়গা। প্রায় ২৫ টিরও বেশি স্কুল, কলেজ, কিন্ডারগার্ডেন, মসজিদ, মাদ্রাসা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী নাক মুখ দিয়ে প্রবেশ করছে সিমেন্টের আশ,সকল প্রকার বৃক্ষ ধংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ পরবর্তি প্রজন্মে কে হুমকির মুখে ফেলে আবাসিক এলাকাকে শিল্প এলাকায় পরিনিত করছে। যা বন্দরের বলদ জনগন এর মুখে লাগাম ও কাল চশমা আর সপ্নের ঝুড়ি দিয়ে, মহা নেতারা ইট ভাটা, সিমেন্ট কোম্পানী,গ্যাস কোম্পানী,সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফয়দা লুটে নিচ্চে,যা দেখাশুনা করার জন্য ঘুটি কয়েক দালাল নেতাদের মাসিক ভাতায় ভিবেক বিক্রি করে দিচ্ছে। আর সেটা ভোগ করছে সাধারন জনগন। জরিপ সূত্রে বাংলাদেশের বন্দর থানায় চার পাশ ঘিরে সবচেয়ে বেশি সিমেন্ট কম্পানী।

মানবাধিকার কমিশন ও নাগরিক কমিটি বন্দর নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
আকিজ হলো বন্দর এলাকায় একটা অভিশাপ, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করেছে । কিছু ধান্দাবাজ নেতারা মাসোয়ারা পেয়ে আকিজ এর গোলাম হয়ে গেছে। যদিও তাদেরকে জনগণের গোলামী করার জন্য জনগণ নেতা হিসেবে মানে। কিন্তু এই বেইমানগুলো জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা না করে জনগণের কল্যাণে কাজ না করে পরিবেশের জন্য হুমকি সরুপ আকিজ এর কল্যাণে তারা নিবেদিত। এরাই বর্তমানের জাতীয় বেইমান।
আমাদের মাননীয় এমপি মহদোয় এর একটা বিহিত করতে পারেন, সেটা আমরা জনগন তাদের কে বলি না, এটা আমাদের ব্যার্থতা,ছুটকা নেতারা টাকার লুভি, তাই বলে সবাই না,জনগন সকল শক্তির উপরে,অবশ্যই মাননীয় এমপি মহদোয় এর একটা সমাধান করতে পারেন।যদি আমরা জোরালো ভাবে চাই। তা না হলে আমাদের আগামীর সন্তানরা জন্মের আগেই নানা রোগ বহন করেই পৃথিবীতে আসবে। আকিজ আমাদের কলিজার ভিতর বসে বসে শেষ করে দিচ্ছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রতিবাদ চরম প্রতিবাদ প্রয়োজন। মাথার উপর কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়া বন্দরের মানুষগুলো আজ বুঝছে না তবে একদিন বুঝবে পরাধীনতা যে কি! সচেতন নাগরিকরা আর সুশিল সমাজ আজ অন্ধের ভূমিকায় নিচ্চুপ।সুবিধা নিচ্ছে সরকারদলীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি। নারায়ণগঞ্জ বন্দরে আকিজ আমাদের পরম বন্ধু! দেখার কেউ নেই? নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান এর সু-দৃষ্টি কামনা সচেতন মহলের।
Leave a Reply