শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি-২০২১ইং) ফতুল্লা পঞ্চবটি ৫ তলা কলোনীস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার প্রস্তাবিত কমিটির একটি সভা সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বেপারীর সভাপতিত্বে ও মোঃ সুমন হাওলদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বেপারী তার উদ্বোধনী বক্তব্যে কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রস্তাব ও সমর্থন নিয়ে পদবী ও নাম ঘোষণা করলে নেতৃবৃন্দরা সবাই সমর্থন করেন।
সভাপতি আরো বলেন যে, বছরের পর বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের রূপ বদলের দৃশ্য আর নেতৃবৃন্দের ডানে বামে উকি ঝুঁকির দৃশ্য দেখে দেখে আমরা দুঃখ পেয়ে আসছি। শ্রমিক লীগের এই দুর্বল, অসহায়ত্ব ও ব্যর্থতা দেখে আমাদের নেতৃবৃন্দরা দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ জেলায় একটা শ্রক্তিশালী সু-সংগঠিত শ্রমিক লীগ গঠন করার জন্য চেষ্টা করে আসছে। যে শ্রমিক লীগ নারায়ণগঞ্জ গণমানুষের নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যগত কর্ণধারদের উত্তরসূরী, ছোট বেলা থেকে রাজপথের যোদ্ধা, অনর্গল বক্তা, সমুধর কন্ঠস্বর, কোমল ব্যবহার, যিনি কখনো আওয়ামী লীগের দুশমনদের সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার দুশমনদের সাথে লিয়াজো করে না, স্বার্থের জন্য কখনো আপোষ করে না। সেই বার বার নির্বাচিত এমপি এ কে এম শামীম ওসমান এর পেছনে বা সাথে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর মত হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেতৃত্ব দিবে। কিন্তু বিগত সময় বিগত দিনে যে সম্ভাবনা ছিল তার কারণ নারায়ণগঞ্জবাসী অনেকেই জানেন।
এমনি অবস্থায় ২০১৮/১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের কমিটির শূন্যতা সৃষ্টি হলে আমরা কেন্দ্র বরাবর ১৯/০৪/২০১৯ইং তারিখে একটি কমিটি জমা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আজ কমিটির সময় চলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি হওয়ায় আমরাও নতুন কমিটি কার্যক্রমের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে উপস্থাপন করে যাচ্ছি। এই সেই দিনও দেখলাম নবপার্কে ফতুল্লা থানা আওয়মী লীগ এর পরিচিতি সভায় উপস্থাপক মাইকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাম উপস্থাপন করলেও শ্রমিক লীগের নাম বললো না। রাত্র ১২টায় আইনজীবি সমিতির ফলাফল ঘোষণার সময় দেখলাম ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ এর নাম বললো, শ্রমিক লীগ এর নাম বললো না। কেন বললেন না বুঝেছি, শ্রমিক লীগের নিস্কৃয়তা, ব্যর্থতা ও অপরাগতা কিন্তু আমরা শামীম ভাইয়ের শ্রমিক যোদ্ধারা সেই ঘাটতি ও ব্যর্থতা দূর করবো ইনশাল্লাহ। পরাজয় বুঝি না চিনি না, চিনি বিজয়-পেছনে তদন্ত করে দেখেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন-হাজী নজরুল ইসলাম, নিজাম মদাবর, বারেক আকন, মোর্শেদা বেগম, জাহাঙ্গীর আক্তার, অঞ্জন দাস, সদরুল আমিন, মামুন, সোহেল, আলি আকবর, শামিম, আতাউরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আগামী স্বাধীনতা দিবস যথাযথভবে পালন, শামীম ভাইয়ের সভা সমাবেশে যোগদান ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় শ্রমিক কর্মচারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে সভার সভাপতি সভা শেষ করেন।
Leave a Reply