আল-জাজিরার যে রিপোর্টটা, এই রিপোর্টের সোর্স বার্গম্যান, এর কি অন্য কোন পরিচয় আছে ? এই লোকটা তো একটি বাংলাদেশি। এরকম আরো যারা আছেন, তারা এরকম কর্মকান্ড দ্বারা কাকে খাটো করার চেষ্টা করছেন। কোন দেশপ্রেমিক কি দেশকে খাটো করতে পারে? তারা আমাদের সেনা প্রধানকে নিয়ে যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। আসলে তারা এটি পুরোনো কোন ঘটনাকে আর একটু মেকআপ করে নতুন করে উপস্থাপনা করার চেষ্টা করছে। যেহেতু আল-জাজিরা একটি বড় প্লাটফর্ম তাই এটি বেশি হাইলাইট হচ্ছে।
বুধবার ( ৩ ফেব্রুয়ারী ) রাতে সময় টিভি চ্যানেলের `আড়ালে কোন কারিগর!’ নামক টকশোতে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান এমপি বলেন, আমার একটি প্রশ্ন, যে আল-জাজিরা শুধু বর্তমানে যারা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই কথা বলছে? এইযে যারা অস্ট্রেলিয়া কানাডা থেকে দেশের সম্পর্কে কু-কথা বলে যাচ্ছে, তাও খুবই অশ্লীল ভাষায়। এত অশ্লীল ভাষায় যারা কথা বলছে, তারা যে ভদ্রলোকের সন্তান আমার মনে হয়না। আল-জাজিরা যদি শুধু বর্তমানে যারা রয়েছে সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তাদের বিরুদ্ধে নয় এর আগের আগেও যারা ছিলো তাদের বিরুদ্ধেও কথা বলছে। তার মানে আমার যেটা ধারনা তারা কার উপরে ক্ষেপেছে? যাদের কারনে তারা কনসপ্রেসি করতে পারে না, এই লোক গুলি কনসপ্রেসিটাকে ঠেকিয়ে দিচ্ছে।
শামীম ওসমান এমপি আরও বলেন, আমি আগেও একটা কথা বলেছি, এখন যে গেইমটা খেলা হচ্ছে তা কিন্তু শুধু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য না। এখন চলছে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রতে পরিনত করার গেইম। এই খেলার সাথে জরিত আছে সুপ্রিম পাওয়ার’রা। এখন সবাইকে একত্রিত রাখতে হবে। কারন সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগের না, বিএনপির না, জাতিয়পার্টির না এরা আমাদের দেশের স্তম্ভ। যেই সেনাবাহিনী দেশের জন্য শুধু শুনাম অর্জন করে নাই, মিলিয়ন’স ওব ডলার ইনকাম করছে এবং জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীতে এক নম্বর যারা, আজকে তাদের বিরুদ্ধে এই গেইম টা খেলা হচ্ছে। এই খেলাটা তারা খেলছে যারা পদ্মা সেতু করতে বাধা প্রদান করেছিলো।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি সিস্টেমে একটা দল থাকে তা হলো চাটুকার দল, যে বেশি চাটে সে আসল নয়। তারা চাটতে চাটতে সামনে চলে আসে। বাংলাদেশে এখন যা হচ্ছে তার সাথে শুধু বিএনপি নয় বরং স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও আন্তর্জাতিক সুপ্রিম পাওয়ার জড়িত। না হলে সেনাপ্রধান যে সিটে বসবে তার পেছনের সিটে কেউ বসতে পারে না। স্বাধীনতার পর যারা এ দেশকে স্বীকৃতি দেয় নাই তারাও এ খেলার সাথে জড়িত। জাতির পিতাকে হত্যা ও এতকিছুর পরেও বাংলাদেশের এই উন্নতি তারা মেনে নিতে পারছে না। ফলে আজ তারা এত বেশি উত্তেজিত। আন্তর্জাতিক শক্তির যে খেলা তার টার্গেট একজনই, তিনি হলেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা।’
টকশোতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।
Leave a Reply