শনিবার প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল। ২০২০ সালে ১৬১,৮০৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে, যা ২০১৯ সালে ৮৭,২৮৬ জন। ২০২০ সালে ১৩ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী এই পরীক্ষার জন্য নিবন্ধিত হয়েছে, যা দেশটিতে ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফলাফলের সারসংক্ষেপ পেয়েছেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় সার্টিফিকেট (এসএসসি) ৭৫ শতাংশ এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং এর সমতুল্য পরীক্ষার ফলাফল থেকে ২৫ শতাংশ নম্বর সংগ্রহ করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট http://www.educationboardresults.gov.bd/ এবং তাদের নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল পেতে পারেন।
২০২০ সালের এইচএসসি ব্যাচ হচ্ছে প্রথম ব্যাচ যারা পরীক্ষায় বসা ছাড়াই সার্টিফিকেট পাবে, কারণ গত বছরের অক্টোবরে সরকার কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এইচএসসি পরীক্ষা না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোন পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসা ছাড়াই সার্টিফিকেট পাবে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২০ সালের ১ এপ্রিল শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মহামারীর কারণে সরকার ২২ মার্চ তা স্থগিত করে দেয়।
সারা দেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় বসার কথা ছিল ১,৩৬৫,৭৮৯ জন ছাত্রছাত্রীর।
এর আগে সোমবার সরকার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিনটি সংশোধনী বিলের একটি গেজেট প্রকাশ করে।
গেজেট প্রকাশের আগে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ বিলে সম্মতি দেন।
পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের পথ প্রশস্ত করে গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে সংশোধনী বিল পাস হয়।
এই বিলগুলো হল “মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা (সংশোধনী) বিল ২০২১, “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধনী) বিল ২০২১ এবং “বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধনী) বিল ২০২১।
পূর্ববর্তী আইন অনুযায়ী, পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি ফলাফল প্রকাশের কোন বিধান ছিল না। যেহেতু কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি, তাই সংশোধনী বিল পেশ করা হয়।
এই মাসের শুরুতে মন্ত্রিসভা মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর একটি সংশোধনীর খসড়া বিল অনুমোদন করে, যার ফলে শিক্ষা বোর্ডগুলো কোন সংকটের সময় পরীক্ষা ছাড়াই ফলাফল প্রকাশ করতে পারে।
Leave a Reply