২০১৭ সালে কাকরাইলে মা ও তার ছেলেকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। রোববার অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন আব্দুল করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা এবং মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি। বিচারক তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করবেন কিনা জানতে চাইলে করিম বলেন, একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে সরকারি আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেছেন, বাদী আশরাফ আলী এই রায়ে সন্তুষ্ট।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ নম্বর বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।এরপরের দিন ২ নভেম্বর নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলায় শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, করিমের শ্যালক (মুক্তার ভাই) জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের মসলা ব্যবসায়ী।তিনি ২৮ বছর আগে নিহত শামসুন্নাহারকে বিবাহ করেন। তাদের সন্তান নিহত শাওন ‘ও’ লেভেলে পড়ালোখা করতো। আসামি করিম জনৈকা ফরিদাকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। ওই ঘরেও আকাশ নামে একটি সন্তান রয়েছে। পরে ফরিদাকে তালাক দিয়ে ৪ বছর আগে মুক্তাকে বিবাহ করেন। তৃতীয় বিয়ে করার পর আসামি করিম প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ খবর নিতেন না এবং মাঝে মধ্যে বাসায় এসে প্রথম স্ত্রীকে মারধর করতেন। হত্যাকাণ্ডের ৩-৪ মাস আগে করিমের তৃতীয় স্ত্রী মুক্তা বাসায় এসে নিহত শামসুন্নাহারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যান।
Leave a Reply