করোনা মহামারিতে নারায়নগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে সকল মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের দাফন কাফন ও সৎকারে জীবনের ঝুকি নিয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নারায়নগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও টিম মোসফা ১৯ এর লিডার মোস্তফা হোসেন চৌধুরী। করোনাকালীন সময়ে লাশ দাফন কাফন ও সতকার করতে গিয়ে তিনি ও তার সহধর্মিণী করোনায় আক্রান্ত হন, তারপরেও তার হাতে গড়া টিম মোস্তফার সদস্যরা মানবিক সেবা, লাশ দাফন কাফন ও সতকারের কাজ অব্যাহত রাখেন। করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে করোনায় মৃত্যুবরণ করা লাশের দাফন কাফন সৎকারের পাশাপাশি অসহায় মানুষের দৌরগোড়ায় খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন, মানুষের সেবা করেছেন।
এদিকে, মানবতার কল্যানে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করা করোনা যোদ্ধা ও মানবতার ফেরিওয়ালা মোস্তফা হোসেন চৌধুরী বলেন, মহামারি করোনার প্রথম ধাপ আমরা সবাই মিলে মোকাবেলা করেছি। আল্লাহর অশেষ রহমতের কারনে সেটা সম্ভব হয়েছে। করোনা থেকে পুরোপুরি রক্ষা পেতে হলে আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে নিজের এবং নিজ পরিবারের সকল সদস্যরা যেন সুরক্ষিত থাকে সেদিকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন, করোনার শুরু থেকে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয়, মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমি ও আমার টিমের সদস্যরা করোনায় মৃত্যুবরণকারী মানুষের লাশ দাফন, কাফন ও সতকারের কাজ করেছি। ।শুধু করোনা নয়, আমৃত্যু মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাবো ইনশাল্লাহ। এদিকে নারায়ণগঞ্জের বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো: জসিমউদ্দিন করোনাকালীন সময়ে যে সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে তাদের সে কাজের স্বীকৃত দেওয়ার পাশাপাশি সম্মাননা চেক প্রদান করে নারায়ণগঞ্জের ৪৫ জনকে। টিম মোস্তফা কোভিড ১৯ কেও সে সম্মাননা চেক প্রদান করেন ডিসি। টিমের পক্ষে সে সম্মাননা চেক গ্রহন করেন টিম লিডার করোনাযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন চৌধুরী,সে সম্মাননা চেক পেয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
Leave a Reply