করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন বিমান ‘ধ্রুবতারা’সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে আয়োজিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী মাহাবুব আলীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। গণভবনপ্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ ‘ধ্রুবতারা’ চালুর ফলে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা এই উপমহাদেশে বাস করি। আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানটা এত চমৎকার- একটা জায়গায় আমরা যদি শুধু আশপাশের দেশগুলোর সাথে একটা ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যে সবদিক থেকে উন্নত হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এতগুলো চমৎকার এয়ারলাইন্স কিনলাম কিন্তু করোনার কারণে সারাবিশ্বের সাথে বলতে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। শুধু বাংলাদেশই না, বিশ্বব্যাপী এ সমস্যা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে গেছে।আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিমানক্রয়সহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা করোনাভাইরাস এসে উলটপালট করে দিয়েছে।
শুরুতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ ‘ধ্রুবতারা’র নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও কেরানীগঞ্জে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার, দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ২০টি ফায়ার স্টেশন, জেলা সদরে নবনির্মিত ৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং একটি এলপিজি স্টেশন উদ্বোধন করেছেন তিনি।
ধ্রুবতারা: কানাডার প্রখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত ৭৪ আসন বিশিষ্ট ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। এ উড়োজাহাজের এইইপিএ (হাই-ইফিশিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার) ফিল্টার প্রযুক্তি মাত্র ৪ মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংসের মাধ্যমে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরের বাতাসকে করে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ, যা যাত্রীদের করবে অধিকতর সতেজ ও নিরাপদ। এছাড়াও এ উড়োজাহাজে রয়েছে পর্যাপ্ত লেগস্পেস, এলইডি লাইটিং ও প্রশস্ত জানালা, যে কারণে ভ্রমণ হয়ে উঠবে অধিক আরামদায়ক।
Leave a Reply