ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঘোষিত বরকতময় সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানের রোজার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্যে প্রকাশিত হয়েছে। ২৩শে মার্চ সাবান মাসের ৩০দিন পূর্ণ হয়ে ২৪শে মার্চ ২০২৩, ১৪৪৪ হিজরি থেকে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে, এক্ষেত্রে ২৩শে মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশের মুসলমানগণ সেহরি খেয়ে রোজা পালন শুরু করেন।
দেশের সকল জেলার অধিবাসীগনই ঢাকা জেলার সময়ের সাথে তাদের জেলার উল্লেখিত সময় সামঞ্জস্য করে এই সূচী অনুসরণ করতে পারবেন।
রমজানের অন্যতম ইবাদত: সাহরি ও ইফতার
রাতের শেষ ভাগে সাহরি খাওয়া যেমন সুন্নাত ও কল্যাণের, তেমনি দ্রুত ইফতার করায়ও রয়েছে বিশেষ কল্যাণ। আর তা পেতে রোজাদারের ইফতার-সাহরিতে রয়েছে বিশেষ দোয়া ও নিয়ম।
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা সেহরী খাও। কারণ, সেহরিতে বরকত নিহিত।’আল্লাহ তায়ালা সেহরির সময় সম্পর্কে বলেন, “আর রাত্রি বেলা খানা-পিনা কর যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমাদের সম্মুখে রাত্রির বুক হতে প্রভাতের শেষ আভা সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। তখন এসব কাজ পরিত্যাগ করে রাত্রি পর্যন্ত তোমরা রোযা পূর্ণ করে নাও। (সূরা বাকারা-১৮৫)
রোজার নিয়ত
نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم
উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরয করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের আগে দোয়া-
بِسْمِ الله – اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত)
ইফতারের পর বা ইফতার করার সময় -হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করাকালীন সময়ে বলতেন-
ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ
উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
অর্থ : ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইফতারের আগে তাওবা-ইসতেগফার করা, ইফতারের করার তাওফিক দান করুন। উল্লেখিত নিয়মে ইফতার করার তাওফিক দান করুন। (আমিন।)
Leave a Reply