অপূর্ব দাস: বাবা কবি রতœ দাস, জামালগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজে বঙ্গ মাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হোস্টেলের প্রহরী। ঘরবাড়ি নেই, ভাড়া বাড়িতে থাকে। সংসারে অভাব থাকলেও ভালবাসা আছে। আর সেই ভালবাসা দিয়েই অভাবকে জয় করে মেধার বিকাশ ঘটিয়ে জামালগঞ্জ সরকারি মডেল স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে দারিদ্রতাকে হার মানিয়েছে অপুর্ব। অপুর্ব এগিয়ে যেতে চায়, চায় দেশ ও জনগনের সেবা করতে ডাক্তার হতে। কিন্তু বড় বাধা অভাব আর দারিদ্রত্।া নেই কোন জমি-জমা বা বাড়ী। শুধু একমাত্র বাবার প্রহরী চাকুরীই ভরসা। ভাল ফল করলেও নেই কোন আমেজ। কি হবে তার ভবিষ্যত, এটাই এখন তার প্রশ্ন?
নিপা রাণী দাস: উপজেলা সদর ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকার নেপাল দাসের মেয়ে নিপা। এক ভাই এক বোন দুইজনেই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। বাবা দর্জির কাজ করে। সংসার চলে কাজের উপর নির্ভর করে। বাবা ্আয়ের উপর পাচঁ জনের টানা টানির সংসার। অভাবের সংসারে ছিল সুখের ছায়া। বারবার অভাব টেনে ধরলেও আটকাতে পারেনি নিপাকে। বাধা দিতে পারেনি তার মেধাকে। সব অভাব অনটন পেছনে ফেলে এবার জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ইচ্ছা শক্তির প্রভাব, সে পড়তে চায়, চায় ডাক্তার হতে। সেবা করতে চায় দেশের কিন্তু অভাব নামের শব্দটি বারবার তাকে থামিয়ে দিতে চায়। কিন্তু থামতে চায়না নিপা।
আজবিনা জীবন বর্ষা: কখনও দেখেনি সুখের বাতি, পেয়েছে শুধু “নেই” শব্দটি। বাবা একজন গৃহ শিক্ষক। সহায় সম্বল বলতে আছে শুধু বাড়ির ভিটা। বাবার আয় দিয়ে সংসার চালানো বড়ই কষ্টের। পড়াশুনা চালাবে কিভাবে? তাই এখন ভাল ফল অর্জন করেও চোখে জল বর্ষার। মা চায় মেয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করুক। কিন্তু সাধ আছে সাধ্য নেই। তাইতো চোখের জল ফেলে মেয়েকে সান্তনা দেয়। বর্ষা জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে জিপিএ-৫ পেয়ে সভায়কে অবাক করে দিয়ে প্রমান করেছে অভাব বা দারিদ্রতা তাকে আটকাতে পারেনি। সে ভবিষ্যতে একজন ডাক্তার হতে চায়, দেশের মানুষের সেবা করতে চায়।
Leave a Reply