নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: যোগদানের শুরুতেই মাদক, জুয়া, সন্ত্রাসীসহ সব ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন। ওসি’র যোগদানের পর থেকেই জেলার সদর উপজেলার মাদক নির্মূলে পুলিশের কঠোরতা চোখে পড়ার মতো। বন্ধ হয়ে গেছে ছোট-বড় জুয়ার আসর। মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধে পুলিশের টহলও জোরদার করা হয়েছে। ওসির কঠোরতায় কমেছে সব ধরনের অপরাধমূলক কাজ। মাদকের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে আসছেন তিনি।
মাদক, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ওসি আসলাম। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের ঠাঁই নেই। তাদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান একাধিক বার পরিচালনা করেছেন ওসি আসলাম হোসেন। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনায় ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেনের কঠোর হয়ে কাজ করছেন। মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে সফল হয়েছেন তিনি। এক সময়ে ফতুল্লায় মাদক নামের ভয়াল থাবা মহামারি আকার ধারণ করেছিল। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান ওসি আসলাম হোসেন সফল হয়ে তা রীতিমতো নিমূল করেছেন। বর্তমানে মাদক সেবীর চেহারা চোখে পড়ে না। অনেকে মাদক ছেড়ে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী বলেন, ভাইরে আর মাদক সেবন করতে জায়গা পাই না। যেখানেই খেতে বসি পুলিশ ছো-দিয়ে ধরে নিয়ে যায়। এজন্য মাদক সেবন বাদ দিয়েছি। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে মাদক ব্যবসা আর করা যায় না। এ জন্য ৪০ হাজার টাকা দিয়ে অটোভ্যান কিনে স্বচ্ছ পথে আয়-রোজগার করে সংসার চালাচ্ছি। তারা বলেন, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তান সবাই খুশি। সমাজের মানুষজনও এখন ভালোবাসে।
Leave a Reply