প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ। শীতের শাক-সবজির দেখা মিলছে বাজারে । দামও ছিল বেশ চড়া। বাজারে শীতের সবজি উঠলেও আগের সেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দর এখনো ৭০ টাকার ওপরে। অথচ প্রতিবছর এ সময়টায় শীতের নতুন সবজি ব্যাপকভাবে বাজারে উঠতে শুরু করে। সে অনুযায়ী কমতে শুরু করে দামও, তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
রাজধানীর মুগদাপাড়া, গোপীবাগ, মালিবাগসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের দাম আগের মতোই, ২৫০ গ্রাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, টমেটো ১২০, গাজর ৮০ থেকে ৯০, শিম ১৪০ থেকে ১৫০, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৯০ থেকে ১০০, মুলা ৭০, কাঁকরোল ৮০ থেকে ৯০, পটোল ৬০ থেকে ৭০, বেগুন ৬০ থেকে ৭০, করলা ৮০ এবং চিচিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া জলপাই ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজপাতা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের দাম কিছুটা কমেছে, পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়, আগে ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যেত না। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। বাজারে লালশাক, পুঁইশাকের সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি সরিষাশাক ও ডাঁটাশাকও পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে প্রতি আঁটি ১৫ টাকায়। মাঝে লালশাকের আঁটি ২০ টাকার কমে পাওয়া যেত না। ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া পুঁইশাকের দামও কিছুটা কমেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর কাঁচাবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলুর দাম ৩৫ টাকায় বেঁধে দেওয়া হলেও এখনো বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা বেশি দামে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা কেজি।
বিক্রেতারা বলছেন, এবার কয়েক দফায় বন্যা হয়েছে এবং বৃষ্টিও হয়েছে অনেক লম্বা সময় ধরে। এতে আবাদ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, ফলে এখনো পুরোমাত্রায় শীতের সবজি আসা শুরু করেনি। এগুলো মূলত শীতের আগাম জাতের সবজি। এ ছাড়া বর্ষা ও গ্রীষ্মকালীন সবজির মৌসুম শেষ হওয়ায় মূলত দাম বেশি রয়েছে। তাঁরা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমতে শুরু করবে।
Leave a Reply