এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে শুরু থেকে উড়ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পিএসজিকে হারিয়ে শুভ সূচনার পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আরবি লাইপজিগকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ওলে গুনার সুলশারের দল।
ম্যাচে শেষদিকে ১৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মার্কাস রাশফোর্ড। দলের হয়ে আরও একটি করে গোল করেন ম্যাসন গ্রিনউড ও অঁতনি মার্শিয়াল।
বুধবার ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে গত আসরের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল খেলা লাইপজিগকে নিয়ে ছেলেখেলা করে ম্যানইউ। খেলার ২১ মিনিটে গ্রিনউড গোল করে এগিয়ে দেন রেড ডেভিলসদের। তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে ওঠেন রাশফোর্ড। ৭৪, ৭৮ ও যোগ করা সময়ে হ্যাটট্রিক করে বসেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। মাঝে ৮৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করেন নেন মার্শিয়াল।
এই গ্রুপের অপর ম্যাচে ইস্তানবুল বাসাকসেহিরকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন মোইস কিন (৬৪ ও ৭৯)। এই গ্রুপে দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ম্যানইউ। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে পিএসজি।
অপরদিকে, উসমান দেম্বেলে ও লিওনেল মেসির গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভেন্টাসের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পায় রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।
যদিও ম্যাচে মেসিরা একগাদা গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। তবে চলমান আসরে টানা দ্বিতীয় জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি দলটির।
বুধবার জুভেন্টাসের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল। তবে টানা তৃতীয়বার করোনা টেস্টে পজিটিভ হওয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এ ম্যাচে ছিলেন না। পাশাপাশি ম্যাচের শেষদিকে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
এদিন খেলার শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সা। মিডফিল্ডার মিরালেম পিয়ানিচের শট স্বাগতিক গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি ঝাঁপিয়ে ফেরানোর পর ফাঁকায় বল পেয়ে অঁতোয়ান গ্রিজমান জোরালো শট নিলেও তা পোস্টে বাধা পায়। ১৪তম মিনিটে লিড নেয় বার্সা। মেসির বাড়ানো বলে দেম্বেলে শট নেন, তবে সেই শট ফেদেরিকো চিয়েসার পায়ে লেগে দিক পাল্টে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
বিরতির আগে মেসি, গ্রিজমান ও দেম্বেলে আরও কয়েকটি চেষ্টায় ব্যর্থ হন। তবে মাঝে জুভেন্টাসের আলভারো মোরাতা ২৩তম মিনিটে গোল করলেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের মোরাতা হতাশ হন। এবার গোল করলেও রেফারি দীর্ঘক্ষণ ভিএআর দেখে অফসাইডের ঘোষণা দেন। কিন্তু এরচেয়েও বেশি হতাশ হয় বার্সা শিবির। ৬২তম মিনিটে মেসির জোরালো শট পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে যায়। ১২ মিনিট পর অধিনায়কের দারুণ পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গ্রিজমান লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিলে হতাশা বাড়ে বার্সেলোনার।
ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে পিয়ানিচকে অহেতুক ফাউল করে জুভেন্টাসের ডিফেন্ডার দেমিরাল দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আন্দ্রে পিরলোর দল। আর এই ভাঙা দল নিয়ে শেষ দিকে আরও একটি গোল হজম করে জুভেন্টাস। ফেদেরিকো বের্নারদেস্কি ডি-বক্সে আনসু ফাতিকে ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা। সেখান থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি মেসি। সেইসঙ্গে দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
এদিকে ‘ই’ গ্রুপে বড় জয় তুলে নিয়েছে চেলসি। ক্রাসনোদারকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পাডের দল। দলের হয়ে একটি করে গোল করেন ক্যালাম হাডসন-ওডোই (৩৭), টিমো ভার্নার (৭৬), হাকিম জিয়াশ (৭৯) ও ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক (৯০)। এই গ্রুপে দুটি ম্যাচে এক জয় ও এক ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ব্লুজরা। সমান ম্যাচে সেভিয়া ৪ পয়েন্ট অর্জন করলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে রয়েছে। গ্রুপে টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে জুভেন্টাস।
Leave a Reply