দিল্লি দেওয়া ২২৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রায় কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিলো। মরগান ও রাহুল ত্রিপাথি আউট হওয়ার পর জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় কেকেআরের। শেষ পর্যন্ত ২১০ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। ১৮ রানে পরাজিত হয় কলকাতা।
প্রথমে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝড় তোলেন দিল্লির টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ধাওয়ান আউট হওয়ার পর পৃথ্বি’শ ও শ্রেয়াস আয়ার রুদ্রমূর্তি ধারন করেন। ১২.৪ ওভারেই তারা তুলে ফেলেন ১২৯ রান। এ সময় পৃথ্বি’শ ৪ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৬৬ রান করে আউট হন। এরপর অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। মাত্র ২৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ করেন তিনি। তার সঙ্গে রিশাব পন্তও হাত খুলে মারতে থাকেন। পন্ত ১৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হলেও আয়ারকে আউট করা যায়নি। তিনি ৭টি চার ও ৬ ছক্কায় ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানে থামে তাদের ইনিংস। কলকাতার আন্দ্রে রাসেল ২৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
২২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানেই ফিরে যান সুনীল নারিন ৩ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ রান তোলেন শুভমান গিল ও নিতিশ রানা। ৭২ রানে গিল (২৮) ও ৯৪ রানে আন্দ্রে রাসেল (১৩) আউট হওয়ার পর দ্রুত আরো দুটি উইকেট হারায় কলকাতা। ১১৭ রানের মাথায় ৩৫ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৮ রান করে ফিরে যান নিতেশ রানা। একই ওভারে দিনেশ কার্তিকও ফেরেন ৮ রান করে। ১৩.৩ ওভারের সময় ১২২ রানের মাথায় প্যাট কামিন্স ৫ রান করে আউট হলে জয়টা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় কলকাতার জন্য।
কিন্তু তখনো নাটক বাকি ছিল। ইয়ান মরগান ও রাহুল ত্রিপাথি ছক্কা বৃষ্টি বইয়ে এক সময় জয়টা নাগালে নিয়ে আসেন। কিন্তু শেষ হাসিটি হাসতে পারেনি তারা। ২৯ রান দূরে থাকতে ২০০ রানের মাথায় মরগান ফিরে যান। যাওয়ার আগে মাত্র ১৮ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৪ রান করে যান। ২০৭ রানের মাথায় ত্রিপাথি আউট হলে জয় থেকে ছিটকে যায় কলকাতা। ত্রিপাথি ১৬ বলে ৩ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৩৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানে থামে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এবারের আইপিএলের আসরে এটা ছিল দিল্লির তৃতীয় জয়। আর কলকাতার দ্বিতীয় হার। ৪ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দিল্লি অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। আর ৪ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা রয়েছে পঞ্চম স্থানে।
Leave a Reply